Moner Bhabna – মনের ভাবনা

মনের ভাবনা
মনের ভাবনা

     

(ক) একটা সংগঠিত এবং শাসনাধীন দলের কোনও কোনও নেতা ,মন্ত্রী ,জনপ্রতিনিধি যখন চুরি করে ,দোষটা শুধু তাদেরই নয় ,দলের পদে থাকা সবার উপরেই বর্তায় ,সর্বোপরি দলের উপরই বর্তায়। রবীন্দ্রনাথ যথার্থই বলেছেন – অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে তব ঘৃণা তারে তৃণ সম দহে।


(খ) রাজনীতি যখন হৃদয়হীনের কারবার হয়ে দাঁড়ায় ,বড় সংস্কৃতি দূরের কথা ,তা কেবল অপসংস্কৃতিরই জন্ম দেয়। যে কোনও উপায়ে জনসমর্থন পেলেও তার কালিমা দূর হয়ে যায় না। বরং সমাজ ,সভ্যতা তার ছোঁয়ায় বিপথে চালিত হয়।


(গ) সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ যারা চিরদিনই সংখ্যায় অগণিত। আদর্শ ,সংস্কৃতি বোঝে না ,তারা শুধু বোঝে – পেট কীসে ভরবে। তাদেরকে কুপথে নামিয়ে ,প্রলোভন দেখিয়ে তাদের সমর্থন আদায় করে নেওয়া সহজ। এ কোনো বড় রাজনীতি নয় ,সৌন্দর্যের মোড়কে মোড়া ঘৃণ্য রাজনীতি,যা আমরা এতকাল দেখে এসেছি। চাই সত্যিকারের বড় রাজনীতি।


(ঘ) তোমার দোষ ধরলে চিৎকার করে বলো কেন – ঐ তো ওরাও দোষ করেছে। তাতে কি তোমার দোষ খণ্ডন হয়ে যায় ? তুমি সুন্দরের স্বপ্ন দেখিয়েছিলে বলেই তো মানুষ তোমাকে বিশ্বাস করেছিল। দুর্ভাগ্য ! সেই স্বপ্ন আজ মরীচিকা হয়ে মিলিয়ে গেছে।


(ঙ) তুমি টাকার পাহাড়ে শুয়ে চাঁদের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারো ,হতে পারে তা তোমার কাছে স্বর্গ-সুখ। নীচে নেমে এসে কখনও দেখেছো কি – ঐ স্বর্গ-সুখ এসেছে কত চোখের জলের বিনিময়ে! মাটির পৃথিবীতে এত দুঃখ ,মানুষের কাণ্ডারি হয়ে তার এক বিন্দুও যদি হৃদয়ে অনুভব করতে ,তবে স্বর্গ-সুখের চেয়েও অপার আনন্দ আর মানুষের ভালোবাসায় জীবন তোমার মহীয়ান হয়ে উঠত।


(চ) তুমি কাণ্ডারি ,সিংহাসন আঁকড়ে থাকাই তোমার ধর্ম হতে পারে না। অকূল দরিয়ায় ভেসে যাওয়া মানুষেরে কিনারের সন্ধান দেওয়াই তোমার ধর্ম।


(ছ) মানুষের সেবায় জীবন উৎসর্গ করেছিলেন যাঁরা ,আপনার সম্পদ উজাড় করে দিয়েছিলেন যাঁরা ,তাঁরা ধন্য। মানুষের সুখেই ছিল তাঁদের সর্বসুখ। ইতিহাস তাঁদের চিরদিন মনে রাখবে। মানবের মাঝে তাঁরা চিরদিন বেঁচে থাকবে।

……………………………………………………..