আজকের সমাজ এবং নারী স্বাধীনতা

 

 

Srijanee.com



হরবিলাস সরকার

 

   আমাদের সমাজে রামমোহন ছিলেন নবজাগরণের প্রথম পথিকৃৎ আর
বিদ্যাসাগর তাঁর যথার্থ উত্তরসূরী । তাঁরা অনুভব করেছিলেন- ঘুমন্ত সমাজকে জাগাতে
হলে
, পুরুষতান্ত্রিক সমাজ নারীদের পায়ে
যে শেকল পরিয়ে রেখেছে
, সেই শেকলের বন্ধন
থেকে নারীদের মুক্ত করতে হবে । তাঁরা ছিলেন স্ত্রী স্বাধীনতার প্রথম পথপ্রদর্শক ।
সেদিন নারী স্বাধীনতার কথা পুরুষের সহযোগিতা ছাড়া নারীর একার পক্ষে ভাবনারও অতীত
ছিল ।

 

   কেননা, লড়াইটাতো
শাস্ত্রবিদ
, পুরোহিত, ধর্মগুরু অর্থাৎ পুরুষতন্ত্রের বিরুদ্ধেই ছিল। নারীর অন্তরের বেদনায় রামমোহন, বিদ্যাসাগরের অন্তরও ব্যথিত হয়েছিল। সেদিন তাঁরা
এগিয়ে না এলে আজও হয়তো নারীকে সহমরণের চিতায় জীবন্ত জ্বলে-পুড়ে মরতে হতো
, শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত থাকতে হতো। বাল্য বিধবার
চোখের জল আজও শুকাতো না। নারীর একক চেষ্টায় আজও সে কি পারে তার যথার্থ স্বাধীনতা
ছিনিয়ে নিতে
?

 

  মেয়েরা কি আজও সত্যিই স্বাধীন? নিশ্চয়ই নয়। কিন্তু কীরূপ সেই স্বাধীনতা? স্বাধীনতারও একটা সীমা আছে, নিয়ম-নীতি আছে, শৃঙ্খলা আছে, সৌন্দর্য আছে। তা না থাকলে সভ্যতার মূল্য কোথায়? সীমাহীন স্বাধীনতা, সে তো বনের
স্বাধীনতা। সেখানে কোন মর্যাদাবোধের প্রশ্ন ওঠেনা
, স্বেচ্ছাচারিতার প্রশ্ন ওঠেনা, ব্যাভিচারের প্রশ্ন
ওঠেনা। সেখানে গৃহ নেই
, লজ্জা নিবারণের
পোশাক নেই
, বিবেক নেই, রুচিবোধ নেই, কে মা, কে বাবা, কে মেয়ে, কে ছেলে – এসব বোধের কোন বালাই নেই, সেখানে চারপাশ মুক্ত খোলা আকাশের নিচে বর্বরের সীমাহীন স্বাধীনতা হয়তো
মানায়। কিন্তু মানুষ কি সেই বর্বরের সীমাহীন স্বাধীনতার দাবি করতে পারে
? আর সেই দাবি অনুমোদিত না হলেই তাকে কি রক্ষণশীলতা বলে
দাগিয়ে দেওয়া হবে
?

 

   পৌরানিক ধ্যান-ধারণা, আচার-বিচার, সংস্কার, পরীক্ষা-নিরীক্ষাহীন বিশ্বাস হৃদয়-কুটিরে চিরস্থায়ী করে চিরকাল বয়ে চলার
নামই হলো রক্ষণশীলতা। আর কালের বিবর্তনের ধারায় ক্রমোন্নত ধ্যান-ধারণা
, আচার-বিচার, সংস্কার, রুচিবোধ এবং নিয়ত পরীক্ষিত সত্যের
মশাল জ্বেলে এগিয়ে চলার নামই হলো প্রগতিশীলতা ।

 

   আমাদের একদিন গৃহ ছিল না, লজ্জা নিবারণের পোশাক ছিল না, বিবেক- মনুষ্যত্ব
ছিলনা
, রুচিবোধ ছিলনা, পাশবিক যা যা গুণ সবই ছিল। কিন্তু আজ আমরা মানবিক
গুণের অধিকারী
, আমাদের গৃহ হয়েছে, লজ্জা নিবারণের পোশাক হয়েছে। সেকারণেই বন্য জীব থেকে
মানুষ আজ সমাজে আলাদা বৈশিষ্ট্য নিয়ে বিরাজ করছে। মানুষের শ্রেষ্ঠত্বতো সেখানেই ।

 

   এবার আসি সমাজের প্রশ্নে ।আমরা আজ পুঁজিবাদী সমাজে বাস করছি
। যৌবনোদীপ্ত পুঁজিবাদই একদিন সাম্য – মৈত্রী- স্বাধীনতার কথা বলেছিল
, গণতন্ত্রের কথা বলেছিল। কিন্তু আজ আমরা এমনই এক সময়ে
এসে দাঁড়িয়েছি যখন পুঁজিবাদ মুমূর্ষু
, রোগ-শয্যায় শায়িত। সে তাঁর মৃত্যুর দিকেই ক্রমাগত এগিয়ে চলেছে। শত টোটকা, পথ্য সেবনেও নিজেকে বাঁচিয়ে রাখতে পারছে না। এ
অবস্থায় সেই পুঁজিবাদই অস্তিত্ব রক্ষার নিরন্তর প্রয়াসে গণতন্ত্রের গলা টিপে
মারছে
, সাম্য – মৈত্রী- স্বাধীনতার কথা
ভুলাতে চাইছে। তাঁরই জঠরে নতুন প্রগতির সমাজের উত্থান আটকাতে চাইছে। আর মৃত্যুর
মুখোমুখি দাঁড়িয়ে পুরনো ধ্যান-ধারণার সাথে আপোষ করে রক্ষণশীল মধ্যযুগীয়
বর্বরতা-পরিপূর্ণ
, অন্ধবিশ্বাস আর কুসংস্কারাচ্ছন্ন
সমাজের দিকে আমাদের ঠেলে দিতে চাইছে। নারীকে ফিরতে হবে গৃহকোণে
, দিবালোকে বেরোতে হলে আপাদমস্তক বস্ত্রাবৃত থাকতে হবে, কেউ তার মুখ দেখবে না ,শিক্ষার অঙ্গনে প্রবেশ করতে পারবে না ,এমন ফতোয়াও দিকে দিকে জারি হয়ে গেছে । আবার চাহিদামত কোথাও অন্য ভূমিকায়
নারী স্বাধীনতার কথা বলে নারীকে উদ্দাম যৌনতার জোয়ারে ভাসিয়ে দিচ্ছে
, আপাদমস্তক প্রায় বিবস্ত্র করে রাখতে চাইছে ।

 

   যে শিক্ষা চেতনা আনে, বিবেক – মনুষ্যত্ব দেয়, মূল্যবোধ –
দেশাত্মবোধের বীজ বপন করে
, সর্বোপরি সত্যের
সন্ধান দেয়
, সে শিক্ষা আজ অন্তঃসারশূন্য, শুধু ডিগ্রি লাভের শিক্ষায় পরিণত হয়েছে। তাই আজ
যৌবন কুপথে
, বিপথে চালিত হচ্ছে। মদ খাচ্ছে।
মোবাইলে কুৎসিত ছবি দেখছে। বেকারত্ব
, ব্যর্থ প্রেমের যন্ত্রণা ভুলে থাকতে চাইছে। যত অন্যায়, পাপ কাজে লিপ্ত হচ্ছে। ভোগ- বিলাসিতা আর উদ্দাম –
উশৃঙ্খল জীবনযাপন এখন জীবনাদর্শ। এটাই নাকি প্রগতিশীলতা
, আর তার জন্য ঢাক-ঢোল পিটিয়ে চলছে প্রচার। প্রগতিশীলতার এরূপ সংজ্ঞা যৌবনকে আজ
দিশেহারা করে তুলেছে ।

 

   যুবক ছেলেদের পাশাপাশি যুবতী মেয়েরাও আজ উদ্ধাম-উশৃঙ্খল
জীবনযাপনের পথে পা বাড়াচ্ছে। নেশাগ্রস্ত হচ্ছে। রাস্তাঘাটে উদ্দাম নৃত্য করছে।
মনোভাব এমন যে
, আধুনিক পৃথিবীতে ছেলেরা এরূপ অবাধ
স্বাধীনতা ভোগ করতে পারলে আমরা মেয়েরা কেন বঞ্চিত থাকবো
? তাই মেয়েরাও যৌনতার অবাধ স্বাধীনতা চাইছে, অপরিসীম যৌনতৃপ্তি লাভ করতে চাইছে। দুরারোগ্য এই সাইকোসিস ব্যাধি দ্রুত
বিস্তার লাভ করছে। পরিণাম হিসেবে প্রেম আজ আর সুন্দর
, মধুর নয়। যৌনতার পাকে তা ডুবে যাচ্ছে। মোহের আবর্তে স্বেচ্ছায়, কখনো বলপূর্বক সম্মান হানি হচ্ছে। জীবন দুর্বিষহ
হয়ে উঠেছে ।

 

  আগে রাজ-রাজারা বংশরক্ষার নামে বহু বিবাহ করত। বংশরক্ষাই
মূলত: উদ্দেশ্য ছিল না
, ছিল অপরিসীম
যৌনতৃপ্তির আকাঙ্ক্ষাও। সাধারণ পুরুষরাও সেই পথের পথিক ছিল। আজও সেই ধারা অব্যাহত।
তবে ধরনটা একটু বদলেছে। স্বীকৃতির আড়ালে এখন চলে অবৈধ
, গোপন বিবাহ। কিন্তু দুঃখের কথা, আজকের সমাজের
অধিকাংশ নারীও এসবের বিরোধিতা না করে বরং তারাও চাইছে এই অধিকার এবং তারই জন্য
ঝাঁপিয়ে পড়ছে। ফলস্বরূপ বাড়ছে পরকীয়া
, স্বেচ্ছাচারিতা। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যেকার বন্ধন ছিন্ন হয়ে দ্বন্দ্ব-সংঘাত
তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে প্রতিনিয়ত। ছেলে বা মেয়ের উভয়েরই এমন জীবনযাপন সভ্য
সমাজে অত্যন্ত ক্ষতিকারক। তাহলে এ কোন স্বাধীনতা
?

 

   এমতাবস্তায় কোনো ভদ্র বাড়ির মা-বাবা তাঁদের ছেলেমেয়েদের
রক্ষা করতে নিয়ত মরিয়া চেষ্টা করেন। মেয়ের বিপদ অপেক্ষাকৃত বেশি। কেননা
, দায়ভার মেয়েকেই বইতে হয়। তাই মেয়েটি বাইরে বেরোলে
সাবধানে চলাফেরা করতে বলেন
, সূর্যাস্তের আগে
বাড়ী ফিরতে বলেন। উপায় কী
? নগ্ন আধুনিকতার
জোয়ারে ঠেলে না দিয়ে এই পাঁচিলটুকু গড়া ছাড়া আর কী উপায় থাকতে পারে
? এটাকে কি রক্ষণশীলতা বলা যায়?

 

   এবার একটু ভিন্ন প্রসঙ্গে আসি। আজকাল অনেকেই স্বাধীনতার কথা
বলতে গিয়ে  অদ্ভুত যুক্তি করেন। ছেলেরা
হাফ প্যান্ট পরে রাস্তায় চলাফেরা করতে পারলে মেয়েরা কেন পারবে না
? না, সেটা স্বাভাবিক নয়, শারীরিক বৈশিষ্ট্যের কারণেই তা স্বাভাবিক নয়। তাহলে
তো প্রশ্ন ওঠে
, ছেলেরা খোলা রাস্তায় দাঁড়িয়ে
প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে পারলে মেয়েরা কেন পারবে না
?

 

 

   আবার মেয়েদের তো বিশেষ পোশাক পরতে হয়। যেমন- শাড়ি, সায়া, ব্লাউজ ব্রেসিয়ার।
এখন ছেলেরা যদি দাবি করে যে
, মেয়েরা তো ছেলেদের
পোশাক পরে
, তবে ছেলেরা কেন মেয়েদের ওই বিশেষ
পোশাকগুলো পরবে না
? কারও স্বামী বারবার বিয়ে করলে বা
ব্যভিচারী হলে স্ত্রীও কি সেই পথ অনুসরণ করবে
? জীবনের এসব সমস্যা নিয়ে সভ্যতার আদালতে বিচার উঠলে সেই বিচারের রায় কী হবে? অপ্রিয় যা কিছু তাতে সমানে সমানে চলার অনুমোদন দেবে
নাকি যা অসুন্দর
, অমানানসই দুয়ের ক্ষেত্রেই নিষিদ্ধ
হবে
? অবশ্য ভোগসর্বশ্ব পুঁজিবাদী দুনিয়ার আদালত এই
অনুমোদন দিয়েই দিয়েছে। তাঁর রায়ে অসীম স্বাধীনতা। ফলে ফল যা হবার তাই তো হচ্ছে

 

    নারী অর্ধেক আকাশ – বলতে তো দুনিয়াকে শুধু সমানে সমানে ভাগ
করে নেওয়া নয়
, গৃহকোণ থেকে বাইরে বেরনোই শুধু নয়, সম্পত্তির অধিকার শুধু নয়, অফিস-আদালতে – মন্ত্রীসভায় সমানে সমানে প্রবেশের অধিকার শুধু নয়, খুশিমতো পেশা বেছে নেওয়াই নয়, আবার পুরুষেরা এতদিন যে নারীদের উপর খবরদারি করে
এসেছে তার পাল্টা প্রতিশোধও নয়। চাই নারী-পুরুষের একে অপরের প্রতি সহমর্মিতা
, সংসারে স্বামী- স্ত্রীর সুখ-দুঃখের সমান অংশীদার
হওয়া
, চাই যৌথ মতামতের ভিত্তিতে এগিয়ে
চলা। আদর্শ ভিন্ন হলেও বিরোধাত্মক দ্বন্দ্ব নয়
, মিলনাত্মক দ্বন্দ্বের মধ্য দিয়ে একক সত্যে উপনীত হওয়া, আর চাই হৃদয়ের বন্ধন, যে বন্ধন দৃঢ় হবে দুটি মনের সুমধুর ভালোবাসার অমলিন পরশে। একজনের ব্যথায়
আরেকজনও সমব্যথিত হবে
, একজনের যন্ত্রণায় আরেকজনও কাতর
হবে। বাইরে একজন কাজে গেছে
, আরেকজন ঘরে আছে, উভয়েরই কখনোই মনে হবে না – পরের শ্রী ওকে কাতর
করেছে। স্বামী রুগ্ন হলে বা স্ত্রী রুগ্ন হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। তবেই তো
অর্ধেক আকাশের সার্থকতা ।

 

   কিন্তু আজকের একবিংশ শতকেও নারী স্বাধীনতায় নারীই সবচেয়ে
বড় বাধা। নানা কুসংস্কারের জালে নিজেদের আটকে রাখতে চাইছে নারীরা। কেননা
, কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া অগণিত নারীকে স্বামীর প্রতি
বলতে শোনা যায়- তুমি বিয়ে করে এনেছো
, ভরণ-পোষণের দায়িত্ব তোমার। আচ্ছা, বিয়ে কি শুধু স্বামী করেছে, স্ত্রী করেনি? যদি এমন হতো- নারী যদি বলতো, ‘ওগো, সংসারের দায়িত্বভার কি শুধুই
তোমার
, সে তো আমারও,’ তাহলে কেমন হতো? পুরুষ বেকার পাত্রীর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারে কিন্তু কজন সকার নারী বেকার পাত্রকে জীবনসঙ্গী হিসেবে বেছে
নিতে পারে
? যদি পারত কেমন হতো? অন্ধবিশ্বাস, কুসংস্কার আজও নারীকে মধ্যযুগীয় ধ্যান-ধারণায় বেঁধে রেখেছে। বলে কিনা
স্বামীর
খাবার আগে স্ত্রীকে খেতে নেই, স্বামী দেবতা, সংসারে অমঙ্গল হবে। ভাবনাটা এমনই যে,স্বামী দেবতা, আমিতো দাসী মাত্র। হ্যাঁ, এটা যদি অসীম দরদবোধ, ভালোবাসার থেকে ভাবতো যে, ‘ও বাইরে গেছে, সারাদিন না খেয়ে আছে, আমি কী করে খাই?’ তাহলে তা অত্যন্ত মধুময়, তৃপ্তিময়, সুখময় হত।

 

   সমাজে পুরুষের প্রাধান্যের স্বীকৃতি নারীও দেয়।
বংশপরম্পরায় অস্থিমজ্জায় তা মিশে আছে। সামান্য একটা উদাহরণ দিলেই বোঝা যাবে।
মেয়ে সন্তান ভূমিষ্ট হলে পিতার পাশাপাশি মায়েরও মুখখানা কালো হয়ে যায়। ছেলে
সন্তান জন্মালে সেই মায়েরই আবার মুখখানা হাসিতে ভরে ওঠে। ছেলে যে তাদের কাছে
সোনার আংটি
, আর মেয়ে মানে দুঃখের কারণ। আসলে
ছেলে
, মেয়ে দুই-ই তো সমান, কত আদরের!
তবে ভাবনার পিছনে যে রহস্য লুকিয়ে আছে তা হলো – সমাজের দারিদ্র্য
, বেকারত্ব। আমরা কজন সেই আসল ভাবনাটা ভাবি? মেয়ের বিয়ে দিতে গেলে যে মা পণের দাবি নিয়ে প্রশ্ন
তোলে
, নালিশ করে, ছেলের বিয়ে দিতে গেলে সেই মা-ই পণ নিয়ে দর কষাকষি করে। ছেলে বলে কথা, কষ্ট করে মানুষ করেছি, দাম নেই? কিংবা ছেলে ডাবলু. বি. সি. এস
অফিসার হয়েছে
, তার মূল্য তো দিতেই হবে। এই যদি
মানসিকতা হয় তবেতো মেয়েরাই বুঝিয়ে দিচ্ছে – সমাজে পুরুষের দাম বেশি
, সংসারে পুরুষই কর্তা। তাহলে পুরুষতন্ত্রের অবসান করবে কে?

 

   অতএব, তার জন্য চাই পরিবেশ, চাই উপযুক্ত শিক্ষা‘, যেখানে সত্যের আলোয় তৈরি হবে মানুষ, গড়ে উঠবে মনন। মনের শতদলগুলো বিকশিত হবে উন্নত
রুচিবোধ
, মহান আদর্শ আর মূল্যবোধের আধারে।
নারী-পুরুষের স্বাধীনতা সেখানে আপনা থেকেই অর্জিত হবে। একথা সত্য যে
, এই অবক্ষয়িত বার্ধক্যে জরাজীর্ণ সমাজ সেই লক্ষ্যে
পৌঁছবে –
নিছক কল্পনামাত্র। আসলে নারী-পুরুষ
উভয়ে মিলে কল্পনাকে বাস্তবে রূপ দিতে
হলে চাই নতুন কোন সমাজ ।